যিনি কিনা উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের একজন অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক হয়ে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের নিলামের সিডিউল বিক্রি করেন এবং আর্থিক বিষয় দেখভাল করেন।
গত শনিবার ১৫ ই অক্টোবর ২০২৫ তারিখ কোটালীপাড়া চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের নিলামের অনিয়ম নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়… …
সংবাদে উল্লেখ থাকে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের অফিস সহায়ক তাওহিদুল ইসলামের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিডিউল ক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তের কাছে সিডিউল বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে তিনি তথ্য দিতে ব্যর্থ হন। তিনি জানান বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের তাওহীদুল ইসলাম জানেন। হ্যাঁ এখানেই আমার প্রশ্ন… একটি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে কয়েকজন কর্মকর্তা এবং কয়েকজন স্থায়ী কর্মচারী থাকতে একজন অস্থায়ী অফিস সহায়ক কিভাবে এই শিডিউল বিক্রি , আর্থিক লেনদেন, এবং দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
দায়িত্ব পালন করেন। আসলে এই দায়িত্ব কি তার? নাকি বিশেষ কোনো ক্ষমতার বলে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করেন? কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রইল…..
যা ই হোক… উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তের ভাষ্য অনুযায়ী তাওহীদুল ইসলামের কাছে সিডিউল বিক্রির তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন শিক্ষা কর্মকর্তা শেখরঞ্জন জানেন। এখানে বিষয়টি কেমন যেন হাস্যকর মনে হচ্ছে… শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন তাওহিদুল ইসলাম জানেন আর তাওহীদুল ইসলাম বলছেন শিক্ষা কর্মকর্তা জানেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হলে হয়তো এখানেই কোন অনিয়ম লুকিয়ে থাকতে পারে বলে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ।
তাওহিদুল ইসলাম যে শিডিউল গুলো বিক্রি করেছেন সেই সিডিউল গুলোতে উপজেলা প্রকৌশলী স্বাক্ষরের স্থানে কে স্বাক্ষর করেছেন..? বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক। যদি তাওহীদুল ইসলাম স্বাক্ষর করে থাকেন তবে কেনো তিনি একজন অস্থায়ী অফিস সহায়ক হয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর স্বাক্ষরের স্থানে স্বাক্ষর কোরেছেন। কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তাহিদুল ইসলাম এই কয়েক বছরে যতগুলো নিলামে সিডিউল বিক্রি করেছেন তা রেজিস্টরের সংরক্ষিত আছে কিনা এবং মুরি বইয়ের সাথে রেজিস্টার এর মিল আছে কিনা এবং সিডিউল বিকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হোক… বিশেষ করে ৩০ নং উত্তর বান্ধবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেমি পাকা ঘর নিলামে কত টাকার সিডিউল বিক্রি করা হয়েছে এবং কার নামে ডিট হয়েছে তা গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হোক,,, হয়তো এখানে কোনো বড় রকমের অনিয়ম লুকিয়ে আছে।
গোপন তথ্যে জানা গেছে এই তাওহিদুল ইসলাম ঢাকা হেডকোয়ার্টারে পিডিপি ফোর এ ছিলো প্রাইমারি স্কুলে, সেখানে নানা অপকর্ম করার কারণে হেডকোয়ার্টার থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে গোপালগঞ্জ একটি প্রকল্পে অফিস সহায়ক পদে নিযুক্তদেন।এবং অবশেষে তিনি কোটালীপাড়া প্রকৌশলী দপ্তরে ডিপিডি সন এ আসেন…..তাওহীদুল ইসলামের নিজ এলাকা নারিকেল বাড়িতে স্থানীয় কয়েক জনের কাছ থেকে জানা গেছে তিনি নিজেকে অস্থায়ী অফিস সহায়ক নয় বরং উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং তার নিজস্ব মোটরসাইকেলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো ব্যবহার করে চলাচল করতে দেখা যায়।
তাই কর্তৃপক্ষকে এই অস্থায়ী অফিস সহায়ক তাওহিদুল ইসলাম সম্পর্কে গভীর তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছি।